• الْمَهْدِيُّ مِنِّي أَجْلَى الْجَبْهَةِ أَقْنَى الْأَنْفِ يَمْلَأُ الْأَرْضَ قِسْطًا وَ عَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ جَوْرًا وَ ظُلْمًا يَمْلِكُ سَبْعَ سِنِينَ

    (سنن أبي داود الحديث رقم 4285)

    মাহ্দি আমার অংশ। তাঁর একটি উজ্জ্বল, চওড়া ললাট ও লম্বা নাক আছে। তিনি সারা পৃথিবীতে ন্যায়বিচার স্থাপন করবেন কারণ তাঁর আসার আগে পৃথিবী পাপ ও দুর্নীতিতে ভরে যাবে। তিনি সাত বছর পৃথিবীকে শাসন করবেন।

  • لَوْ لَمْ يَبْقَ مِنْ الدَّهْرِ إِلَّا يَوْمٌ لَبَعَثَ اللَّهُ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يَمْلَؤُهَا عَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ جَوْرًا

    (سنن أبي داود الحديث رقم 4283)

    পৃথিবীর বিনাশ যদি আসে, আল্লাহ্ সেদিন আমার আহ্ল আল-বায়াত থেকে একজন মানুষকে পাঠাবেন। তিনি পৃথিবীতে, যেখানে নিপীড়ন ও দুর্নীতিতে ভরে গেছে্, সেখানে ন্যায়বিচার স্থাপন করবেন।

  • لَا تَذْهَبُ الدُّنْيَا حَتَّى يَمْلِكَ الْعَرَبَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يُوَاطِئُ اسْمُهُ اسْمِي

    (سنن الترمذي الحديث رقم 2230)

    যতদিন না আমার সমনামধারী কেউ আমার আহ্ল আল-বায়াত থেকে এসে আরবদের শাসন করবে ততদিন পৃথিবীর বিনাশ ঘটবে না।

  • يَلِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي يُوَاطِئُ اسْمُهُ اسْمِي

    (سنن الترمذي الحديث رقم 2231)

    আমার সমনামধারী একজন মানুষ আমার আহ্ল আল-বায়াত থেকে আসবে।

  • الْمَهْدِيُّ مِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ يُصْلِحُهُ اللَّهُ فِي لَيْلَةٍ

    (سنن ابن ماجه الحديث رقم 4085)

    মাহ্দি আমার আহ্ল আল-বায়াতের অংশ। আল্লাহ্ তাঁকে এক রাতের মধ্যে উপযুক্ত করে তুলবেন।

  • يَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي خَلِيفَةٌ يَحْثِي الْمَالَ حَثْيًا لَا يَعُدُّهُ عَدَدًا

    (صحيح مسلم الحديث رقم 2913)

    আমার অনুসারীদের সময় শেষ হলে একজন খলিফা আসবেন যিনি অগণনীয় ঐশ্বর্য প্রদান করবেন।

  • عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ خَشِينَا أَنْ يَكُونَ بَعْدَ نَبِيِّنَا حَدَثٌ فَسَأَلْنَا نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ فِي أُمَّتِي الْمَهْدِيَّ يَخْرُجُ يَعِيشُ خَمْسًا أَوْ سَبْعًا أَوْ تِسْعًا زَيْدٌ الشَّاكُّ قَالَ قُلْنَا وَمَا ذَاكَ قَالَ سِنِينَ قَالَ فَيَجِيءُ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَيَقُولُ يَا مَهْدِيُّ أَعْطِنِي أَعْطِنِي قَالَ فَيَحْثِي لَهُ فِي ثَوْبِهِ مَا اسْتَطَاعَ أَنْ يَحْمِلَهُ

    (سنن الترمذي الحديث رقم 2232)

    আবু সইদ খেদ্রী (পয়গম্বরের একজন সঙ্গী), বলেন: পয়গম্বরের মৃত্যুর পরে ঘটতে পারা দুর্ঘটনাগুলির ভয়ে আমরা তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতাম। পয়গম্বর বলেছিলেন: “আমার জাতির মধ্যে থেকে মাহ্দির উত্থান ঘটবে। তিনি পাঁচ, সাত বা নয় বছর বাঁচবেন। ” – এ বিষয়ে একমাত্র সন্দেহের অবকাশ আছে হাদিসটির বর্ণনকারী জাইদের বিষয়ে। বর্ণনকারীর কাছে মাহ্দির নির্দিষ্ট জীবনকাল ও তাঁর ব্যক্তিত্বের বিষয়ে সত্যতা জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন যে মাহ্দি বহু বছর বাঁচবেন। আল্লাহ্-এর দূত এরপর বলেন যে তাঁর কাছে কেউ এসে বলবেন: “হে মাহ্দি! আমাকে প্রদান কর।” আর তিনি তাঁকে প্রচুর সোনা ও রূপা দেবেন, যতটা তিনি বইতে পারবেন।

  • عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ و َسَلَّمَ إِذْ أَقْبَلَ فِتْيَةٌ مِنْ بَنِي هَاشِمٍ فَلَمَّا رَآهُمْ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ اغْرَوْرَقَتْ عَيْنَاهُ وَ تَغَيَّرَ لَوْنُهُ قَالَ فَقُلْتُ مَا نَزَالُ نَرَى فِي وَجْهِكَ شَيْئًا نَكْرَهُهُ فَقَالَ إِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ اخْتَارَ اللَّهُ لَنَا الْآخِرَةَ عَلَى الدُّنْيَا و َإِنَّ أَهْلَ بَيْتِي سَيَلْقَوْنَ بَعْدِي بَلَاءً وَ تَشْرِيدًا وَ تَطْرِيدًا حَتَّى يَأْتِيَ قَوْمٌ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ مَعَهُمْ رَايَاتٌ سُودٌ فَيَسْأَلُونَ الْخَيْرَ فَلَا يُعْطَوْنَهُ فَيُقَاتِلُونَ فَيُنْصَرُونَ فَيُعْطَوْنَ مَا سَأَلُوا فَلَا يَقْبَلُونَهُ حَتَّى يَدْفَعُوهَا إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي فَيَمْلَؤُهَا قِسْطًا كَمَا مَلَئُوهَا جَوْرًا فَمَنْ أَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْكُمْ فَلْيَأْتِهِمْ وَلَوْ حَبْوًا عَلَى الثَّلْجِ

    (سنن ابن ماجه الحديث رقم 4082)

    আব্দুল্লাহ্ বর্ণনা করেছেন যে যখন আমরা আল্লাহ্-এর দূতের (সা।) সামনে বসেছিলাম, একদল বানু হাশিম যুবক সামনে দিয়ে চলে যায়। তাদের দেখে পয়গম্বরের (সা।) চোখ জলে ভরে ওঠে এবং মুখমন্ডল ফ্যাকাসে হয়ে যায়। আমরা বললাম: “হে পয়গম্বর! আমরা আপনাকে কখনো শোক দুঃখে দেখতে চাই না। ” পয়গম্বর উত্তর দেনঃ “আমরাই সেই পরিবার, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ যাদের উপরে এর পরবর্তী পৃথিবীর ভার ন্যস্ত করেছেন। আমার মৃত্যুর পর আমার আহ্ল আল-বায়াত দুর্দশা ও স্থানচ্যুতির সম্মুখীন হবে এবং নির্বাসিত হবে। এই অবস্থা চলতে থাকবে যতদিন না তারা পূর্বদিক থেকে পুণ্যের সন্ধানে কালো পতাকা নিয়ে আসবে, কিন্তু তারা তা পাবে না। তখন তারা এর জন্য যুদ্ধ করবে এবং সাহায্যপ্রাপ্ত হবে এবং অবশেষে তারা যা চায় তা পাবে। কিন্তু, তখন তারা তা গ্রহণ করতে পারবে না যতক্ষণ না তারা আমার আহ্ল আল-বায়াতের অন্তর্ভুক্ত কোনো মানুষকে সব দায়িত্ব অর্পন করছে। তিনি অত্যাচার ও দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ পৃথিবীতে ন্যায়বিচার নিয়ে আসবেন। তাই তখন তোমরা যারা জীবিত থাকবে তাদের সকলকে তাঁদের কাছে ছুটে যেতে হবে যদি তার জন্য তোমাদের বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হয়, তাহলেও।”

  • لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ ظَاهِرِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ قَالَ فَيَنْزِلُ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَقُولُ أَمِيرُهُمْ تَعَالَ صَلِّ لَنَا فَيَقُولُ لَا إِنَّ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ أُمَرَاءُ تَكْرِمَةَ اللَّهِ هَذِهِ الْأُمَّةَ

    (صحيح مسلم الحديث رقم 156)

    আমার জাতির মধ্যে একটি গোষ্ঠী সত্যের জন্য নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধ চালিয়ে যাবে শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত, যখন ইসা ইব্ন মরিয়মকে (পয়গম্বর যীশু) পৃথিবীতে পাঠানো হবে এবং সেই ধর্মবিশ্বাসী গোষ্ঠীর শাসক ইসাকে বলবেন: “আমাদের সঙ্গে প্রার্থনা করুন (দয়া করে আমাদের প্রার্থনার ইমাম হন)”। তখন ইসা উত্তর দেবেন: “না! তোমাদের মধ্যেই একজন অন্য সকলের চেয়ে উন্নত কারণ এই জাতির প্রতি শ্রদ্ধাই আল্লাহ্-এর ইচ্ছা।”

  • نَحْنُ وَلَدَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ سَادَةُ أَهْلِ الْجَنَّةِ أَنَا و َحَمْزَةُ وَ عَلِيٌّ وَ جَعْفَرٌ و َالْحَسَنُ وَ الْحُسَيْنُ وَ الْمَهْدِيُّ

    (سنن ابن ماجه الحديث رقم 4087)

    আমরা আব্দুল-মুত্তালিবের বংশধর: আমি, হামজাহ্, আলি, জাফার, হাসান, হুসেন এবং মাহ্দি।

  • الْمَهْدِيُّ مِنِّي

    (سنن أبي داود الحديث رقم 4285)

    মাহ্দি আমার অংশ।

  • الْمَهْدِيُّ مِنْ عِتْرَتِي مِن ْوَلَدِ فَاطِمَةَ

    (سنن أبي داود الحديث رقم 4284)

    মাহ্দি আমার স্বজনদের একজন এবং ফাতিমার বংশধর।

  • الْمَهْدِيُّ مِن ْوَلَدِ فَاطِمَةَ

    (سنن ابن ماجه الحديث رقم 4086)

    মাহ্দি হলেন ফাতিমার বংশধরদের একজন।

  • قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فِينَا خَطِيبًا بِمَاءٍ يُدْعَى خُمًّا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَ أَثْنَى عَلَيْهِ و وَعَظَ و ذَكَّرَ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ أَلَا أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ رَسُولُ رَبِّي فَأُجِيبَ و أَنَا تَارِكٌ فِيكُمْ ثَقَلَيْنِ أَوَّلُهُمَا كِتَابُ اللَّهِ فِيهِ الْهُدَى و النُّورُ فَخُذُوا بِكِتَابِ اللَّهِ وَ اسْتَمْسِكُوا بِهِ فَحَثَّ عَلَى كِتَابِ اللَّهِ وَ رَغَّبَ فِيهِ ثُمَّ قَالَ و أَهْلُ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمْ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمْ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي أُذَكِّرُكُمْ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي

    (صحيح مسلم الحديث رقم 2408)

    একদিন আল্লাহ্ -এর দূত (সা।) মক্কা ও মদিনার মাঝে অবস্থিত “খুম” নামক একটি জলকুন্ডের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে একটি ধর্মোপদেশ প্রদান করেন। আল্লাহ্ তালার প্রশংসা করে, উপদেশ ও স্মরণবাণী শোনানোর পর তিনি বলেন: “হে জনতা! আমি একজন সাধারণ মানুষ ছাড়া কেউ না এবং আমার আত্মাকে নিয়ে যাবার জন্য দৈব দূতের আসার সময় হয়েছে এবং আমি তাঁর আমন্ত্রণ স্বীকার করব। আমি তোমাদের জন্য দুটি মূল্যবান দ্রব্য রেখে যাচ্ছি। প্রথমটি হল আল্লাহ্- এর বই, যা তোমরা মেনে চলবে।” তারপর তিনি আল্লাহ্- এর সেই বইয়ের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন এবং এতে বর্ণিত আদেশ পালন করতে সকলকে উৎসাহিত করেন। এরপর তিনি বলেন: “আর আমার আহ্ল আল-বায়াত (আমার পরিবার)! আমার আহ্ল আল-বায়াতের অধিকারগুলি আমি তোমাদের মনে করিয়ে দিতে চাই।” এই শেষ বাক্যটি তিনি তিনবার পুনরাবৃত্তি করেন।

  • إِنِّي تَارِكٌ فِيكُمْ مَا إِنْ تَمَسَّكْتُمْ بِهِ لَنْ تَضِلُّوا بَعْدِي أَحَدُهُمَا أَعْظَمُ مِنْ الْآخَرِ كِتَابُ اللَّهِ حَبْلٌ مَمْدُودٌ مِنْ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ وَعِتْرَتِي أَهْلُ بَيْتِي وَلَنْ يَتَفَرَّقَا حَتَّى يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوْضَ فَانْظُرُوا كَيْفَ تَخْلُفُونِي فِيهِمَا

    (سنن الترمذي الحديث رقم 3788)

    আমি দুটি দ্রব্য তোমাদের কাছে ছেড়ে যাচ্ছি যাতে তোমরা তাদের মেনে চল এবং বিভ্রান্ত না হও। এর একটি অন্যটির থেকে মহত্ত্বর; সেটি হল আল্লাহ্ -এর বই, যা হল আকাশ থেকে ঝোলানো একটি দড়ির মত এবং দ্বিতীয়টি হল আমার আহ্ল আল-বায়াত। এই দুটি মূল্যবান দ্রব্য হল অবিচ্ছেদ্দ্য এবং এগুলি আমার সঙ্গে সরোবরে যুক্ত হবে (স্বর্গে)। আমার বিশ্বাসের প্রতি তোমাদের আচরণে তোমরা যত্নবান হবে।

  • خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةً وَعَلَيْهِ مِرْطٌ مُرَحَّلٌ مِنْ شَعْرٍ أَسْوَدَ فَجَاءَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ فَأَدْخَلَهُ ثُمَّ جَاءَ الْحُسَيْنُ فَدَخَلَ مَعَهُ ثُمَّ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَأَدْخَلَهَا ثُمَّ جَاءَ عَلِيٌّ فَأَدْخَلَهُ ثُمَّ قَالَ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمْ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا

    (صحيح مسلم الحديث رقم 2424)

    আল্লাহ্-এর দূত সকালে একটি কালো চুলের তৈরী নকশা করা চাদর গায়ে দিয়ে বাড়ীর বাইরে গেলেন। হাসান ইব্ন আলি এলেন এবং পয়গম্বর তাঁকে তাঁর চাদরের মধ্যে টেনে নিলেন। তারপর হুসেন এলেন এবং তিনি তাঁকেও তাঁর চাদরের মধ্যে টেনে নিলেন। এরপর ফাতিমা এলেন এবং পয়গম্বর তাঁকে ঢেকে নিলেন এবং তারপর আলি এলেন এবং চাদরের মধ্যে ঢুকে গেলেন। তারপর তিনি এই স্তবকটি উচ্চারণ করলেন:

    “قَالَ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمْ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا”

    “হে [পয়গম্বরের] পরিবারবর্গ, আল্লাহ্ যথার্থই চান তোমাদের মধ্যে থেকে সব অশুদ্ধতা [পাপের] মুছে দিতে, এবং তোমাদের [সর্বব্যাপী]পরিশুদ্ধতা দিয়ে বিশুদ্ধ করতে।”

  • لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا و َأَبْنَاءَكُمْ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ عَلِيًّا وَ فَاطِمَةَ وَ حَسَنًا وَ حُسَيْنًا فَقَالَ اللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلِي

    (صحيح مسلم الحديث رقم 2404)

    এই স্তবকে “فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا و َأَبْنَاءَكُمْ” (বাংলা: এসো আমরা আমাদের সন্তানদের আমন্ত্রণ জানাই এবং তোমরা আমন্ত্রণ জানাও তোমাদের সন্তানদের। ) পয়গম্বর মহম্মদ (সা।) আলি, ফাতিমা, হাসান ও হুসেনকে ডেকে পাঠিয়েছেন এবং বলেছেন: “হে আল্লাহ্! এরাই আমার আহ্ল আল-বায়াত।”

  • مَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمْ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَ يُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا فِي بَيْتِ أُمِّ سَلَمَةَ فَدَعَا فَاطِمَةَ وَ حَسَنًا وَ حُسَيْنًا فَجَلَّلَهُمْ بِكِسَاءٍ وَ عَلِيٌّ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَجَلَّلَهُ بِكِسَاءٍ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلُ بَيْتِي فَأَذْهِبْ عَنْهُمْ الرِّجْسَ وَ طَهِّرْهُمْ تَطْهِيرًا قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَ أَنَا مَعَهُمْ يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ أَنْتِ عَلَى مَكَانِكِ وَ أَنْتِ عَلَى خَيْرٍ

    (سنن الترمذي الحديث رقم 3205)

    যখন এই স্তবকটি “إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمْ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا” (বাংলা: “আল্লাহ্ যথার্থই তোমার পরিবার থেকে যা কিছু অশুভ এবং কলঙ্কময় তা দূর করতে চান এবং তিনি তোমাদের সকলকে সম্পূর্ণ শুদ্ধ করতে চান”) পয়গম্বর মহম্মদের (সা।) কাছে নেমে আসে, তিনি তখন উম-সালামার বাড়ীতে ছিলেন। তখন তিনি ফাতিমা, হাসান এবং হুসেনকে ডেকে পাঠান এবং তাঁদের চাদরের মধ্যে টেনে নেন। তারপর তিনি তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা আলিকে তাঁর চাদরের মধ্যে ডেকে নেন। এরপর তিনি বলেন: “হে আল্লাহ্! এরাই আমার আহ্ল আল-বায়াত। তাই এদের তুমি সব অশুভ ও কদর্যতা থেকে মুক্ত কর এবং ওদের শুদ্ধ ও শুচি কর।” তখন উম-সালামা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন: “হে আল্লাহ্-এর দূত! আমি কি ওদের একজন?” পয়গম্বর তখন উত্তর দেন: “তোমার নিজের স্থান আছে এবং তুমি ধার্মিকতা ও সদ্গুণের সঙ্গে বাঁচবে (কিন্তু তুমি এই গোষ্ঠীর অংশ নও)।”

  • أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ كَانَ يَمُرُّ بِبَابِ فَاطِمَةَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ إِذَا خَرَجَ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ يَقُولُ الصَّلَاةَ يَا أَهْلَ الْبَيْتِ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمْ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَ يُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا

    (سنن الترمذي الحديث رقم 3206)

    ছয়মাস ধরে, পয়গম্বর মহম্মদ (সা।) প্রতিদিন সকালের প্রার্থনার জন্য মসজিদে যাবার আগে ফাতিমার বাড়ীর দরজায় উপস্থিত হতেন, এবং বলতেন: “ও আহ্ল আল-বায়াত! প্রার্থনার সময় হয়ে গেছে” (তারপর তিনি কোরাণের এই স্তবকটি পাঠ করতেন:)

    ِانَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمْ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا

    (বাংলা: হে [পয়গম্বরের] পরিবারবর্গ, আল্লাহ্ যথার্থই চান তোমাদের মধ্যে থেকে সব অশুদ্ধতা [পাপের] মুছে দিতে, এবং তোমাদের [সর্বব্যাপী]পরিশুদ্ধতা দিয়ে বিশুদ্ধ করতে।).

  • عن عَامِرِ بن سَعْدِ بن أبي وَقَّاصٍ قال كَتَبْتُ إلى جَابِرِ بن سَمُرَةَ مع غُلَامِي نَافِعٍ أَنْ أَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ سَمِعْتَهُ من رسول اللَّهِ صلي الله عليه وآله قال فَكَتَبَ إلي سمعت رَسُولَ اللَّهِ صلي الله عليه وآله يوم جُمُعَةٍ عَشِيَّةَ رُجِمَ الْأَسْلَمِيُّ يقول: لَا يَزَالُ الدِّينُ قَائِمًا حتى تَقُومَ السَّاعَةُ أو يَكُونَ عَلَيْكُمْ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كلهم من قُرَيْشٍ

    (صحيح مسلم الحديث رقم 1822)

    আমের ইব্ন সাদ ইব্ন আবি ভাকাস বলেন: আল্লাহ্-এর দূতের (সা।) কাছে তিনি কি শুনেছিলেন্ তা জানতে চেয়ে আমি এবং আমার দাস, জাবের ইব্ন সামারেকে চিঠি লিখেছিলাম। জাবের লিখেছিলেন যে শুক্রবার রাতে যখন আসলামিকে পাথর মারা হচ্ছিল তখন তিনি পয়গম্বর মহম্মদকে বলতে শোনেন: এই ধর্ম শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত সুদৃঢ় থাকবে এবং তোমরা বারোজন খলিফা পাবে যারা সকলেই কুরেশ জাতির।

  • سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ يَكُونُ اثْنَا عَشَرَ أَمِيرًا فَقَالَ كَلِمَةً لَمْ أَسْمَعْهَا فَقَالَ أَبِى إِنَّهُ قَالَ كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ

    (صحيح البخاري الحديث رقم 6796)

    “বারোজন আমির (রাজপুত্র) আসবেন.” এরপর তিনি (পয়গম্বর) কিছু বলেন যা আমি শুনতে পাইনি, কিন্তু আমার পিতা বলেন: “এবং পয়গম্বর বলেন যে তাঁরা সকলে কুরেশ উপজাতি থেকে আসবেন।”

  • عن جَابِرِ بن سَمُرَةَ قال: دَخَلْتُ مع أبي على النبي صلى الله عليه وسلم فَسَمِعْتُهُ يقول: إِنَّ هذا الْأَمْرَ لَا يَنْقَضِي حتى يَمْضِيَ فِيهِمْ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً. قال: ثُمَّ تَكَلَّمَ بِكَلَامٍ خَفِيَ عَلَيَّ قال: فقلت لِأَبِي: ما قال؟ قال: كلهم من قُرَيْشٍ

    (صحيح مسلم الحديث رقم 1821)

    জাবের ইব্ন সামারে বলেন: আমি আমার পিতার সঙ্গে পয়গম্বর মহম্মদের কাছে আসি। আমরা তাঁকে বলতে শুনি: “যতদিন না বারোজন উত্তরাধিকারী মুসলমানদের শাসন করছেন ততদিন ইসলাম ধর্মীয় খলিফার শাসনকাল শেষ হবে না।”. তারপর তিনি আরো কিছু বলেন যা আমি শুনতে পাইনি। আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞাসা করি: “পয়গম্বর কি বললেন?” আমার পিতা উত্তর দেন: “উনি বললেন: এই খলিফারা সবাই কুরেশ জাতির।”